স্টাফ রিপোর্টারঃ নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত আহবায়ক কমিটির পরিচিত সভা উপলক্ষে ভুরি ভোজ আয়োজনের চাঁদা আদায় নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন কালু ও নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতা নূরুল্লা মজুমদারের মধো বাকবিতণ্ডা হয় । প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় পরিচিত সভা পরবর্তী নেতাকর্মীদের ভুরিভোজের আয়োজন করা হয় । এতে বিভিন্ন নেতাদের চাঁদা ধরা হয়েছে । তন্মধ্যে অধ্যক্ষ নূরুল্লা মজুমদারেরও বিশ হাজার টাকা চাঁদা ধরা হয়েছে । সেই মোতাবেক চেয়ারম্যান টাকা চাইলে নূরুল্লা মজুমদার বলেন, বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে কি লাভ করেছি ? আপনারা দু’হাতে টাকা কামিয়েছেন, এখন আপনারা খরচ করেন । তিনি টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন ।উত্তরে চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন কালু বলেন, আওয়ামী লীগে আপনি অধ্যক্ষ হয়েছেন, মন্ত্রী মহোদয় আপনাকে ঠিকাদারী কাজ দিয়েছে । আপনি হাইব্রিড তারপরেও আপনাকে দলে পদ দিয়েছে । এরপরও আর কি চান ?
এইভাবে বাকবিতণ্ডা শুরু হলে উভয়ের মধো চরম উত্তেজনা দেখা দেয় । পরবর্তীতে চেয়ারম্যানের সমর্থনে তার শ্যালক মিন্টু সহ আরো কিছু উচ্ছৃঙ্খল লোক অধ্যক্ষ নূরুল্লা মজুমদারকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে তাকে লাঞ্ছিত করতে উদ্যত হয় ।পরিস্থিতি বেগতিক দেখে তিনি আত্মরক্ষার্থে স্থান ত্যাগ করেন ।এ নিয়ে আওয়ামী লীগের পরিচিত সভাস্থলে সবার মুখে মুখে । যাহা টক অব দ্যা সভাস্থলে পরিণত হয়েছে ।নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, পৌর নির্বাচনে জাল মিটাতে নূরুল্লা মজুমদারের গা’য়ে পড়ে ঝগড়া করার মূল কারণ । তিনি আরো বলেন, পৌর নির্বাচনে মেয়র মনোনয়নে মালেকের পক্ষে ছিলেন অধ্যক্ষ নূরুল্লা মজুমদার । সেই প্রতিযোগিতায় চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন কালু হেরে যান । তখন থেকেই প্রতিশোধের নেশায় মত্ত।