কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলাধীন ১২নং ঢালুয়া ইউনিয়নের মঘুয়া গ্রামের কুখ্যাত ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী চক্র জাফর বাহিনী। এলাকায় ব্যাপক তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড থেকে শুরু করে সকল অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত এরা। জাফর তার কিশোর বাহিনী দিয়ে এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে দীর্ঘদিন থেকে। জাফরের রয়েছে বিশাল একটি সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক। তার এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলে না কেউ। সচরাচর দিনে দুপুরে অত্র এলাকায় খুন জখম করেছে অর্ধশতের উপর। তার ভাই, ভাতিজা, নাতিসহ চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হাতে রক্ত ঝরে নাই এমন কোন পরিবার মঘুয়াতে প্রায় নেই বললেই চলে। নির্যাতনের শিকার হয়ে কেউ মামলা করলে আইনের ফাঁকে পার পেয়ে যায় তারা। নির্যাতন ও অপরাধের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় আরও অধিক হারে। এলাকায় দাপিয়ে বেড়ায় সাহসিকতা ও বেপরোয়া গতিতে। ভুক্তভোগীদের দাবি, এরা সংঘবদ্ধ লাঠিয়াল বাহিনী হওয়ায় সমাজের রাজনীতিবীদ ও স্থানীয় ব্যক্তিরাও অনেক সময় এদের পক্ষ নেয়। আশ্রয় প্রশ্রয় দেয় অসহায় নির্যাতিত মানুষের পক্ষে থাকে না কেউ। বিচায় পায় না এরা কারো কাছে। রক্ত মোচার জন্য থাকে না এদের কোন ব্যক্তি। ক্ষত শুকাতে না শুকাতে হয়তো ভাগ্যে জুটে আবারও নির্যাতন। এমন অসংখ্য ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে জানা গেল সমাজে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এদের প্রতি নজর দেওয়া হয় না। এলাকাবাসীর প্রশ্ন, আর কত নির্যাতন, শোষন, চাঁদাবাজি ও মাস্তানি করবে এরা? কিশোর সমাজকে কি বানিয়ে ফেলবে এরা সন্ত্রাসী ও মাদকাসক্ত?
বিগত ১৪ আগস্ট ২০২১ইং সাপ্তাহিক সবুজপত্র পত্রিকায় ‘মাদক সম্রাট জাফর গ্রুপের হাতে জিম্মী মঘুয়া’ শীর্ষক সংবাদে তাদের অপকর্মের সামান্য অংশ প্রকাশের পর এলাকায় এরা আরও বেপরোয়া ও উশৃঙ্খল আচরণ করছে বলে এলাকাবাসী দাবি করছে। নির্যাতনের শিকার এক বয়স্ক ব্যক্তি বলেন, এলাকায় নুরু, খোকন, ইয়াছিন খান ও সোলতানের দোকানসহ সর্বত্র জাফর ও তার বাহিনীর প্রধান শরীফ, ভাইয়ের ছেলে সৌরভ, নাতি হৃদয়সহ কিশোর গ্যাং বলে বেড়াচ্ছে এবার দুই-একজন খুন করে ফেলবে। দুই-চারজন ঘুম করে ফেলবে। সাধারণ জনগণ চরম ভয়ে রয়েছে। কখন কি করে ফেলে চরম বেপরোয়া এই সন্ত্রাসী বাহিনী। অতীতের প্রায় অর্ধশত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রমাণ সাংবাদিকদের কাছে রয়েছে। ইয়াবা ব্যবসায়ী আবুল কাশেমের পুত্র রোমন, আনা মিয়ার পুত্র নেছার। এলাকাবাসীর দাবি, থানা পুলিশের মধ্যে দারোগা নাজমুনসহ আরও কতিপয় পুলিশ নেছার, রোমনের সাথে মাদক ব্যবসায় জড়িত। যার কারণে পুলিশ সব সময় নেছার, রোমনসহ এলাকার সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা করে যাচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, মাদক সংক্রান্ত ঘটনায় নাঙ্গলকোট থানার ওসি আবদুর নূর বদলী হলেও একই অপরাধে জড়িত কতিপয় পুলিশ অফিসার এখনও বদলী না হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।