শাহরাস্তি থেকে মোঃ হাবিবুর রহমান ভূঁইয়াঃ শাহরাস্তির প্রিয়া হত্যার রহস্য কী? পরকিয়া না অন্য কিছু?এলাকাবাসির জিজ্ঞাসা।ঘটনার বিবরনে জানাযায়: শাহরাস্তি উপজেলার রায়শ্রী (দ;)ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের আহমদ নগর গ্রামের প্রবাসী ইসমাইল হোসেনের মেয়ে নওরোজ আফরীন প্রিয়া(২১) ১ সন্তানের জননী কে, ১৬ সেপ্টেম্বর বৃহঃবার রাত ৮টার দিকে কে বা কাহারা হত্যা করে পেলে রাখে। তার মা রুমি আক্তার (৩৫) জানায় সন্ধার আগে আমরা মা মেয়ে ডাক্তারের কাছ থেকে বাড়িতে আসি এবং সাতটার দিকে এ গ্রামের জেলে বাড়িতে যাই কবিরাজের কাছে।সেখান থেকে এসে দেখি আমার নাতিন আনহা(১৮মাস) রোমের ভিতরে কাঁদতেছে।ঘরের দরজা বাহিরে আটকানো আমি দরজা খুলে ভিতরে গিয়ে দেখি আমার মেয়ে রক্তাক্তবস্তায় খাটের উপর পড়ে আছে। তিনি জানান আমার কোন শত্রু নাই। তাহলে তাকে হত্যা করেছে কে? জানাগেছে প্রায় ২/৩ বছর পূর্বে মা এবং মেয়ের সাথে বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়েছিল ওই সময় তার বাবা ইসমাইল হোসেন তার মার সাথে কথাবার্তা বলা বন্ধ করে দিয়েছেন মেয়েকে দিয়ে সব কাজ করাতেন এবং তার মাকে বিদায় করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি আজ প্রায় 12 বছর বাংলাদেশে আসছেন না ওই থেকে মা মেয়ের মাঝে দা-কুমড়া সম্পর্ক এলাকাবাসির ভাষ্যমতে মা মেয়েকে পথ থেকে সরানোর জন্য আর মেয়ে মাকে সরানোর জন্য চেষ্টা করেছিল। ঐদিন কি ঘটেছিল কেন বিকেলবেলা ডাক্তারের কাছ থেকে আসার পরে মা তাকে মাগরিবের নামাজের পরে ঘরে একা রেখে বাহিরে গেলেন এবং পরে ফিরে এসে দেখেন এই অবস্থা অনেকে বলছেন প্রিয়া এমন কিছুর সাক্ষী হয়েগিয়েছিল যার জন্য তাকে প্রাণ দিতে হয়েছে যা পুলিশ তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে এ হত্যা রহস্য। প্রিয়া ছোটপোদ্দার বাড়ীর প্রবাসী ইসমাইল হোসেনের একমাত্র মেয়ে। তার স্বামীর বাড়ী কুমিল্লায়। স্বামী হৃদয় চৌধুরী কুমিল্লায় চাকরি করেন। অহনা নামের ১৮ মাসের ১টি শিশু সন্তান রয়েছে।স্থানীয়রা বলেন, ঘটনার সংবাদ পেয়ে লোকজন জড়ো হয়। তখন প্রিয়ার মরদেহ তার শয়ন কক্ষে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখা যায়।নিহতের মা রুমি আক্তার জানান, প্রিয়ার মেয়ে আহনা অসুস্থ। তার জন্য ঔষধ আনতে পাশের বাড়িতে স্থানিয় এক গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে যাই। ওখান থেকে এসে দেখি আমার মা নেই। পুরো রুমে রক্ত আর রক্ত। পড়ে আছে তার নিথর দেহটা। তিনি আরও বলেন, কে বা কারা এঘটনা ঘটিয়েছে তা আমার জানা নেই। এতো বড় শত্রু আছে বলে জানিনা।প্রিয়ার একমাত্র ভাই পরশ জানান, ওই সময় আমি বাসার ছিলাম না। কি হয়েছে আমি জানিনা। আপুকে কুমিল্লায় বিয়ে দেয়া হয়েছে। দুলাভাই হৃদয় চৌধরী আমাদের এখানে ৫ দিন বেড়িয়ে আপুকে রেখে কুমিল্লায় চলে যান। কে আমার আপুকে এভাবে হত্যা করলো তা জানিনা।স্থানিয়রা জানায়, পরোকীয়া জনিত কারণে এমন ঘটনা হতে পারে। তবে এই পরিবারের সাথে কারও পূর্ব শত্রুতা নেই।শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মান্নান বলেন, প্রিয়াকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। প্রিয়ার হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে পুলিশ, পিবি আই, সি আইডি, ডি এস বি।