স্টাফ রিপোর্টারঃ সাংবাদিককে কারাগারে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে জেলার নাশির আহমেদ এর বিরুদ্ধে। গত ১৮-০৭-২০১৯ তারিখ সিএমপির বন্দর থানার পুলিশ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে বিকালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করে। মামলা নং-২২, তারিখ-২৬-০৬-২০১৯খ্রিঃ। পরের দিন ১৯জুলাই সকাল ৭টায় জেলার নাশির আহমেদ সাংবাদিককে কারাগারের কর্ণফুলী ভবনের ১৫নং ওয়ার্ডে অবস্থানের নির্দেশ দেন। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার সুত্রে ও সাংবাদিকের কাছ থেকে জানা যায় কর্ণফুলী ১৫নং ওয়ার্ড বন্দিদের জন্য শাস্তিমূলক ওয়ার্ড। যেসব বন্দি কারাগার অভ্যন্তরে মাদক ও মারামারিসহ নানা অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হয় তাদেরকে কেইস টেবিলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক শাস্তি হিসেবে কর্ণফুলী ১৫নং ওয়ার্ডে প্রেরণ করা হয়। ১৫নং কর্ণফুলী ওয়ার্ড ২৪ ঘন্টার মধ্যে ২৪ ঘন্টাই তালাবদ্ধ থাকে। কর্ণফুলী ১৫নং ওয়ার্ড ব্যাতিত সকল ওয়ার্ড সকাল ৫টায় খুলে দেওয়া হয় ও বিকাল ৫টায় লক হয়ে থাকে। কারা সেল কারা বিধি মোতাবেক পরিচালিত হয়। জেলার নাশির আহমেদ কোন অপরাধ ছাড়াই ১২দিন সাংবাদিককে কর্ণফুলী ১৫ নং-ওয়ার্ডে বন্দি রাখে। জেলের ভিতরে জেলে ১২দিন আটক রাখার পর জাতীয় সাংবাদিক নেতারা বিষয়টি জেনে যাওযায় জেলার নাশির আহমেদ কর্ণফুলী ১৮নং ওয়ার্ডে সাংবাদিককে প্রেরণ করেন। ১২দিন সাংবাদিক অনেক কষ্টে ছিলেন, সূর্য্যরে আলো দেখতে পায়নি। ১৫নং ওয়ার্ডের প্রায় সকল বন্দি চর্মরোগে ভুগছে, পরিবেশ নোংরা। জেলার নাশির আহমেদ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নি¤œ মানের খাবার পরিবেশন করতেন। কারাগারের বাহির ও ভিতরে ক্যান্টিনের ব্যবসা করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। সাংবাদিককে হয়রানির বিষয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোঃ শফিকুল ইসলাম খান মিথ্যা তথ্য দিয়ে বলেন “বিগত ১৯.০৭.২০১৯খ্রিঃ তারিখ অত্র কেন্দ্রীয় কারাগারের বন্দির শাস্তি রেজিস্টার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উক্ত বন্দিকে কোন শাস্তি প্রদান করা হয়নি। অত্র কেন্দ্রীয় কারাগারে সেল ব্যাতিত শাস্তিমূলক কোন ওয়ার্ড নাই। বর্ণিত কর্ণফুলী ১৫নং ওয়ার্ডে কারা কর্তৃপক্ষ কারা নিরাপত্তার স্বার্থে বন্দিগণকে আটক রাখা হয়ে থাকে।” স্থানীয় সূত্রে জানা যায় জেলার নাশির আহমেদ চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে যোগদানের আগে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে জেলার হিসেবে দায়িত্ব পালক করছেন। সুশীল সমাজের প্রত্যাশা সাংবাদিককে জেলের ভিতরে জেলে বন্দি রেখে হয়রানি করায় জেলার নাশির আহমেদ এর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিবেন।