স্টাফ রিপোর্টার( কুমিল্লা ) : পুলিশ সদর দপ্তরের বদলী আদেশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে রীট করেছে সিএমপির বন্দর থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) ও ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী। গত ২০১৯ সালের ১৬জুন সিএমপির বন্দর থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করে সুকান্ত চক্রবর্তী। চার মাসের মাথায় পুলিশ সদর দপ্তর ওসি সুকান্ত চক্রবর্তীকে বদলী করে সিলেট রেঞ্জে। বদলীর আদেশ মেনে নিতে পারেনি প্রভাবশালী ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী। বদলীর আদেশ রুখে দিতে হাই কোর্টে রীট আবেদন করে। হাই কোর্ট সুকান্ত চক্রবর্তীর বদলীর আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। পুলিশ বাহিনীতে বদলী আদেশ কোন বিষয় না হলেও ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী হাই কোর্টে রীট করে তিনি পুলিশ বাহিনীতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিন মাস পর বদলী হয়ে যেতে হল সিলেট রেঞ্জে। চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কৃতি সন্তান পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) সুকান্ত চক্রবর্তী বর্তমানে সিলেট রেঞ্জের সিলেট জেলা পুলিশের মাদক বিরোধী সেলে কর্মরত আছে। বন্দর থানায় তিনি অপরাধ দমনের নামে নিজেই অপরাধী বনে যান। দায়িত্বে অবহেলার জন্য ওসি সুকান্ত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে আইজিপির নিকট লিখিত অভিযোগ দেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করছে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজীব কুমার দেব।স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) দুই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বদলির আদেশ হাই কোর্ট তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। বদলির আদেশ স্থগিত হওয়া দুই ওসি হলেন- সিএমপির বন্দর থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী ও চান্দগাঁও থানার ওসি আব্লু কালাম। শনিবার (২৬ অক্টোবর ২০১৯) পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত আইজি (এঅ্যান্ডও) ড. মোঃ মইনুর রহমান চৌধুরীর সই করা এক আদেশে তাদের বদলি স্থগিত করা হয়। পৃথক আদেশে বলা হয়- আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ পরিদর্শক সুকান্ত চক্রবর্তীর সিলেট রেঞ্জে ও পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আবুল কালামের চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলির আদেশ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হলো। বদলির আদেশ স্থগিত করার চিঠি পেয়েছেন বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী। এর আগে পুলিশ সদর দফতরের এক আদেশে ওসি সুকান্ত চক্রবর্তীকে সিলেট রেঞ্জে ও ওসি আবুল কালামকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়েছিল। একই সঙ্গে আরও পাঁচ পরিদর্শক ও ছয় ট্রাফিক পরিদর্শককেও বদলি করা হয়েছিল। সুকান্ত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছে সু-শীল সমাজ।